Header Ads

Psychology

The Easiest Way To Reduce Anger


অনেকেই সমস্যা জানায় তাদের প্রচণ্ড রাগ যার ফলে কাছের মানুষদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে, চাইলেও নিজের রাগ সামলাতে পাচ্ছেন না। তাদের জন্যই এই পোস্টটি আবার দেয়া হলো... এগুলো মেনে চললে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। :)

picture

অতিরিক্ত রাগ কমানোর ১০টি সহজ উপায়:

১। গভীরভাবে শ্বাস নিন
যদি বুঝতে পারেন যে রাগ হচ্ছে, তাহলে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। গভীর দম নিয়ে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন। এতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন অন্যদিকে যাবে। আর গভীর শ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াবে এবং মাথায় রক্ত চলাচল হবে। ফলে একটু হালকা বোধ করবেন এবং ঠান্ডা মাথায় বিষয়গুলো ভাবার সময় পাবেন।

২। ঠোঁট বন্ধ রাখুন
রাগ উঠে গেলে বা কেউ খোঁচাতে থাকলে মুখ বন্ধ করে রাখাটা কঠিন বটে। কিন্তু এ সময় ঠোঁটে তালা মেরে রাখতে পারাটা দারুণ কার্যকর।
অপরপক্ষের কথায় আপনি টুঁ শব্দটিও করবেন না। এর মধ্য দিয়ে অপরপক্ষের মনের কথাগুলো জেনে গেলেন। ধৈর্য ধরে রাখতে পারলে পরে বিষয়গুলো নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। এই চর্চা আপনাকে শক্তিমান করবে।

৩। চোখ বন্ধ, কানও বন্ধ
রাগের মাত্রা আরো বেড়ে গেলে শুধু ঠোঁট নয়, চোখ আর কানও বন্ধ করে ফেলতে হবে। এই পরামর্শে মেজাজ খারাপ হতে পারে বটে, কিন্তু এটা সত্যিই কার্যকর।
যে আপনাকে রাগিয়ে দিচ্ছে বা যা নিয়ে আপনি রেগে যাচ্ছেন, কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে সেখান থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। যেন আপনি সেখানে থেকেও নেই।
তবে আপনার অভিব্যক্তিতে এমন কিছুই আনবেন না, যা আপনার প্রতিপক্ষকে আপনার মনের ভাব বুঝতে দেয়। আপনি কেবল সাময়িকভাবে দেখাশোনা বন্ধ করে দিন।

৪। একটু হেঁটে আসুন
ঘটনার শুরু যেভাবেই হোক না কেন, রাগারাগিতে কোনো পক্ষেরই লাভ হয় না। মেজাজ সামলাতে না পারলে অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘটনাস্থল ত্যাগ করুন। একটু হেঁটে আসুন।
এতে রাগারাগি আর না বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে আর আপনার মনও হয়তো একটু শান্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

৫। ধ্যান করুন
নিয়মিত একটু সময়ের জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান করার চর্চা করুন। ধ্যানচর্চায় অভ্যস্ত হলে যেকোনো সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
তাই আকস্মিকভাবে রেগে যাওয়ার রোগ থাকলে সেটাও সেরে যেতে পারে।

৬। বসে পড়ুন
দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় যদি হঠাৎ করে প্রচন্ড রাগ্ উঠে যায় তাহলে বসে পড়ুন। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মানুষ বেশি রাগ প্রকাশ করে। সম্ভব হলে শুয়ে পড়ুন।
রেগে গেলে শুয়ে পড়লে রাগ্ অনেকটাই চলে যায়। ফলে অতিরিক্ত রাগ প্রকাশ করার ঝুঁকি থাকে না।

৭। ৫ সেকেন্ড চিন্তা করুন
হঠাৎ রেখে গেলে, রাগ প্রকাশ করার আগে ৫ সেকেন্ড সময় নিন। একবার অন্তত চিন্তা করুন যে আপনার রেগে যাওয়াটার কারণটা কি যুক্তিসঙ্গত কিনা। রেগে গেলে প্রতিটা কথা বলার আগেও ৫ সেকেন্ড করে সময় নিয়ে চিন্তা করুন। কারণ রেগে গেলে অনেক সময় এমন অনেক কথা বলা হয় যা অন্যের এবং নিজের জন্য ক্ষতিকারক।

৮। ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন
১ থেকে ১০ পর্যন্ত গোনা কেবল বাচ্চাদের কাজ নয় বরং এখন থেকে আপনারও কাজ। কারণ ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গণনা করলে মেজাজ কমে যায় অনেকটাই। হঠাৎ করে রেগে গেলে মনে মনে প্রথমে ১ থেকে ১০ গুনুন। এরপর আবার উল্টো দিক থেকে অর্থাৎ ১০ থেকে ১ গুনুন। তাহলে দেখবেন রাগ অনেকটাই চলে গেছে।

৯। কথা বন্ধ রাখুন কিছুক্ষণ
যার কারণে আপনি রেগে গিয়েছেন তার সাথে কথা বা তর্কে না জড়িয়ে কথা বন্ধ করে রাখুন কিছুক্ষণ। তাহলে কিছুক্ষণ পড়ে এমনিতেই রাগ কমে যাবে। ফলে চিৎকার চেঁচামেচির মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। তাই রাগ্ করলে কারো সাথে কথা না বলে চুপচাপ নিজের রুমে বসে থাকুন।
কিছুক্ষণ পরে মেজাজ কমে গেলে আপনার রাগ করার কারণ বুঝিয়ে বলতে পারেন।

১০। পুরোনো খবরের কাগজ ছিঁড়ুন
এতো কিছুর পরেও যদি একটুও রাগ না কমে তাহলে অহেতুক ভাঙচুর না করে পুরোনো খবরের কাগজ ছিঁড়ুন। কাগজ ছিঁড়লে মেজাজ কমে যায় একেবারেই। তাই কাঁচের জিনিস কিংবা সাধের ফোনটা না ভেঙ্গে অপ্রয়োজনীয় খবরের কাগজ ছিড়ে কুচি কুচি করুন। তাহলে রাগ ধুলোয় মিশে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.